এক কেজি আলুর দাম ৬৫ হাজার টাকা! বছরে পাওয়া যায় মাত্র ১০ দিন

সব্জি হোক বা কোনও তরকারি, রান্নায় আলু ছাড়া এসব পদ কল্পনা করা যায় না; সারা বিশ্বে আলুর চাহিদাও প্রচুর। আলুর দাম যতি বাড়ে তাহলে চারদিকে শোরগোল শুরু হয়। আবার নানা রকম তরকারিতে আলুর প্রয়োজন পড়ে, তাই বাধ্য হয়েই অনেককে সেই দামেই কিনতে হয়। তা ছাড়া সব্জির মধ্যে সবচেয়ে সস্তায় পাওয়া যায় আলু, তাই এর চাহিদাও বেশি।

কিন্তু এমন এক ধরনের আলু আছে যার দাম শুনলে ভিরমি খেতে হতে পারে কিংবা আলুকে সস্তার সব্জি বলে মনে না-ও হতে পারে, যদি সেই আলুর কেজিপ্রতি দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় হয় ৫৫ হাজার থেকে ৬৫ হাজার টাকা। হ্যাঁ, কল্পনা করা কষ্টকর হলেও বাস্তবে রয়েছে এমন আলু— ইতোমধ্যে যা বিশ্বের সবচেয়ে দামী আলুর স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছে।

এই আলুর নাম ‘লা বোনোতে’। বছরে মাত্র ১০ দিন পাওয়া যায় বিরল প্রজাতির এই আলু। শুধুমাত্র ফ্রান্সের ইলে ডি নয়েরমৌঁতিয়ের দ্বীপেই চাষ হয় এই আলুর।

এমনিতে ফ্রান্সের ইলে ডি নয়েরমৌতিয়ের আলু চাষের জন্য বিখ্যাত। প্রতি বছর ১০ হাজার টন আলু উৎপাদিত হয় দ্বীপটিতে। সেই দ্বীপের মাত্র ৫০ বর্গমিটার এলাকায় চাষ হয় ‘লা বোনোতে’। বছরে মাত্র এই আলুর উৎপাদন হয় মাত্র ১০০ টন।

দ্বীপের বালু জমিতে চাষ হয় ‘লা বোনোতে’। সার হিসাবে ব্যবহার করা হয় সমুদ্রের আগাছা ও প্রবাল; আর সে কারণেই এ আলুর দাম এত বেশি।

শুধু দামে নয়, স্বাদেও অন্যান্য প্রজাতির আলু থেকে একেবারে আলাদা ‘লা বোনোতে’। এর স্বাদ সামান্য টক, খাওয়ার পর একটু নোনতা লাগবে। এ ছাড়াও অনেকটা চিনাবাদামের মতো স্বাদ এই আলুর।

অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে এই আলু চাষ করা হয়। আলু তোলাও হয় অত্যন্ত যত্ন সহকারে। হাত দিয়ে এক এক করে তোলা হয় এই আলু। প্রতি বছরে এক সপ্তাহ এই আলু তোলার কাজ চলে। আলুর খোসা না ছাড়াতে পরামর্শ দেন কৃষকরা। কারণ খোসা ছাড়ালে এই আলুর স্বাদ এবং গন্ধ সব নষ্ট হয়ে যায়।